নাক ডাকার কারণ কী?
ভূমিকা
নাক ডাকা হলো ঘুমের সময় নাকে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে। সাধারণত যাদের গলা ও নাকের টিস্যু খুব বেশি পরিমাণে বা টিস্যুগুলি ফাঁপা অবস্থায় থাকার জন্য কম্পন সৃষ্টি হয়, তাদের ঘুমের সময় নাক ডাকা হয়। এর প্রধান কারণ হলো শব্দের সৃষ্টি ঘটা। নাক ডাকার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, দিনের বেলা ঘুম পাওয়া, মনোযোগের অভাব ও কামশক্তি কমে যায়। এর কারণে মানসিক ক্ষতি ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নাক ডাকার কিছু সাধারণ কারণগুলি হলো:
- অ্যালার্জি বা সাইনাস সংক্রমণঃ নাকের গঠনগত ত্রুটি যেমন নাকের পর্দাটির বিভাজন বা নাসারন্ধ্রে পলিপের কারণে বাধা হতে পারে।
- স্থুলতাঃ মোটা বা পুরু জিভের কারণে নাক ডাকা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় নাক ডাকা হতে পারে।
- জিনগত ত্রুটিঃ কিছু ওষুধের ব্যবহার বা জিনগত ত্রুটির কারণে নাক ডাকা হতে পারে।
নাক ডাকা কমানোর উপায়
- অ্যালার্জি বা সাইনাস সংক্রমণঃ নাকের গঠনগত ত্রুটি যেমন নাকের পর্দাটির বিভাজন বা নাসারন্ধ্রে পলিপের কারণে বাধা হতে পারে।
- স্থুলতাঃ মোটা বা পুরু জিভের কারণে নাক ডাকা হতে পারে।
- গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় নাক ডাকা হতে পারে।
- জিনগত ত্রুটিঃ কিছু ওষুধের ব্যবহার বা জিনগত ত্রুটির কারণে নাক ডাকা হতে পারে।
নাক ডাকা কমাতে, আপনি পেঁয়াজের রস নিতে পারেন, গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে, উঁচু হয়ে ঘুমানো যেতে পারে, কাঁচা হলুদ ও দুধ খেতে পারেন। তাছাড়া, সর্দি লাগলে নাক পরিষ্কার করার পরে ঘুমাতে যাওয়া উচিৎ। ঘুমের দুইত (২) ঘণ্টা আগে থেকে চা-কফি পান করবেন না, মসলা ও তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। কাত হয়ে শুয়ার অভ্যাস করুন। শরীরের ওজন কমাবেন।
নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার করতে হবে। ঘুমন্ত অবস্থায় বুকের চেয়ে মাথা ওপরে থাকলে নাক ডাকার প্রবণতা অনেকটা কমে যায়, তাই বালিশ উঁচু করে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠালো দ্রব্য দূর হবে, নাক ডাকাও কমবে। নাক ডাকার সঙ্গে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব এবং যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখকের মন্তব্য
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবকে শেয়ার করতে ভুলবেন না!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url